পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্য

পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য

 

মন খারাপ হলে আমরা কান্না লুকাই। খুব বেশি হলে বাথরুমের পানির কল ছেড়ে দিয়ে কাঁদি। তারপর চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে বাথরুমের আয়নায় হাসিহাসি মুখ ঠিক ঠাক আছে কি না শিওর হয়ে বের হই।

মনের অসুখ নিয়ে আমরা ভাবি না। একটু মাথা ব্যথা করলেই আমরা হাসফাস করি। এই‌ ওষুধ, সেই‌ ওষুধ করে পাগল হয়ে যাই। অথচ মনের অসুখ হলে তা লুকোনোর যত রকম কায়দা কানুন আছে আমরা তা নিজের উপর এপ্লাই করে ফেলি।

“কেমন আছো” প্রশ্নের বিপরীতে কোন কোন ভালোর মানে “কী ভীষণ খারাপ আছি” হতে পারে তা প্রশ্নকর্তা কল্পনাও করতে পারবে না হয়তো। কতটা খারাপ থাকা নিয়ে আমরা একে অন্যের খুব কাছে থাকি আমরা তা জানি না, জানি না। কি অদ্ভুত জীবন..!!

আজ বিশ্ব মানসিক  স্বাস্থ্য দিবস।‌‌

-পাশের মানুষটার মনের বাড়ির খবর নিলে খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে কি?
-“মন মেজাজ ভালো নাই” এই উত্তর শুনে তাচ্ছিল্য মার্কা হাসি দিয়ে – ‘এইসব মন টন কোন ব্যাপার না’ বলে উড়িয়ে না দিয়ে ২ মিনিট মানুষটার সাথে কথা বলবেন কি?
-কিছু না হোক মন খারাপ করে থাকা মানুষটার পাশে কথা না বলেও হাতটা ধরে বসে থাকেন অন্তত।
দেশে অনেক সাইকোলজিস্ট আছেন এই মানষিক অসুখে ভোগা মানুষগুলোকে সহায়তা করার জন্য। অন্তত তাদের কাছে যেতে তাদের সহায়তা করুন।

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস- ২০১৮ এর প্রতিপাদ্য বিষয়
“পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য”।

ডা. জিবনী রায়

Related posts

Leave a Comment